সামনে এগোনোর বদলে কয়েক কদম পেছনে চলে যাওয়া? রোহিত শার্মা ও ভিরাট কোহলিকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরানোয় ভারতীয় ক্রিকেটে এখন চলছে এমন আলোচনা। তবে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও নির্বাচক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের মতে, এই দুজন নিজ থেকেই খেলতে চাইলে তাদেরকে বাদ দেওয়ার উপায় নেই। বরং দুজনের ফেরার মধ্যে বিশ্বকাপ জয়ের তাড়না দেখতে পাচ্ছেন তিনি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন রোহিত ও কোহলি। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারার পর এই সংস্করণে আর দেশের হয়ে দেখা যায়নি এই দুজনকে। তাদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অধ্যায় একরকম শেষ বলেই ধরে নিয়েছিলেন অনেকে।

এই সময়টায় বেশির ভাগ ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাকেই নিয়মিত টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করা হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও পান্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে এই সময়ে নানা ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন লোকেশ রাহুল, জাসপ্রিত বুমরাহ, রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।

চোটের কারণে এই সিরিজে নেই পান্ডিয়া, সুরিয়াকুমার ও রুতুরাজ। রোহিত ফিরেছেন অধিনায়ক হিসেবেই।

এটা নিয়েই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। টি-টোয়েন্টিতে তারুণ্য নির্ভর দল গড়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে গত এক বছরে আলোচনা হয়েছে অনেক। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে ভারত ফিরে গেছে অভিজ্ঞদের কাছেই।

শ্রীকান্ত নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বললেন, রোহিত-কোহলির মতো ক্রিকেটার খেলতে ইচ্ছুক থাকলে তাদেরকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। সাবেক এই নির্বাচকের মতে, বিশ্বকাপ জয়ের আকাঙ্ক্ষা থেকেই এই সংস্করণে ফিরছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুই মহাতারকা।

“ভিরাট কোহলির তো নিশ্চিতভাবেই থাকার কথা। দারুণ ফর্মে আছে সে। রোহিত শার্মা হয়তো আত্মবিশ্বাসী, কারণ বিশ্বকাপে সে যেভাবে খেলেছে। সে চেষ্টা করবে নিজেকে আরও গুছিয়ে নিতে এবং আইপিএলে ভালো করতে। রোহিত শার্মা যদি বলে যে সে খেলতে প্রস্তুত, তাকে বলার উপায় নেই যে আমরা তোমাকে বাদ দেব।”

“দিনশেষে, ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে রোহিত যন্ত্রণায় পুড়ছে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের সময় সে ছিল দলে। তবে সেরকম কিছু আবার করতে চাইবে সে, আরেকটি বিশ্বকাপ জিতে বিদায় নেবে।”

“ভিরাট কোহলি অবশ্যই একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে চাইবে। ১৩ মাস আগে যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়, ভিরাট অসাধারণ ফর্মে ছিল। তারা (রোহিত-কোহলি) যদি বলে যে তারা খেলতে প্রস্তুত, আমার মনে হয় না তাদেরকে বাদ দেওয়া যায়।”

সামনে তাকিয়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হলে অবশ্য আপত্তি নেই শ্রীকান্তের। তবে সম্ভাব্য অধিনায়ক যাকে ভাবা হচ্ছে, তার চোট প্রবণতার কথাও তুলে ধরলেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার।

“নেতৃত্ব হার্দিক পান্ডিয়াকে দিলে তা দিতে পারে। তবে তার ফিটনেসের অবস্থাও তো বিবেচনায় নিতে হবে।”